জুড়ী উপজেলায় সফল ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী হাজী হেলাল উদ্দিনের জানা-অজানা কিছুকথা

জুড়ী উপজেলায় সফল ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী হাজী হেলাল উদ্দিনের জানা-অজানা কিছুকথা

মাহবুব আলম জলিল,জুড়ী, মৌলভীবাজার।

মোঃ আমজাদ হোসেন বাচ্চু, শ্রীমঙ্গল,।

মৌলভীবাজার জেলা জুড়ী উপজেলা পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের বাছিরপুর গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবরে ১৯৬২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন হাজী মো,হেলাল উদ্দিন।পিতা মরহুম  হাজী মো, ইদ্রিস আলীর ছয় ছেলে ও তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়।
বাবা মরহুম হাজী মো,ইদ্রিস আলী অত্র এলাকার একজন পরহেজগার সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন।তাবলীগ জামাতের সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থেকে মৃত্যুর আগপর্যন্ত  ইসলাম ধর্মপ্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
হাজী মো,হেলাল উদ্দিন,এক ছেলে ও তিন কন্যা সন্তানের জনক। একমাত্র ছেলে দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। সেখানে রয়েছে তাঁর নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্টান। মেয়েদের মধ্যে ছোট দুইমেয়ে স্বামীসহ যুক্তরাজ্য ও আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
হাজী মো, হেলাল উদ্দিন ১৯৮০ সালের শেষদিকে মাত্র ১৮ বছর বয়সে উন্নতজীবনের আশায় পাড়িজমান মধ্যপ্রাচ্যর দেশ কাতারে। সেখানে কয়েক মেয়াদে প্রায় ১৮ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে ১৯৯৯ সালে একেবারে চলে আসেন দেশে।কাতারে থাকাকালীন সময়ে তিনি স্বপ্নদেখতে থাকেন দেশে এসে ব্যবসা করার মাধ্যমে মানুষেরসেবা করবেন।
সেই লক্ষ্যপুরণে তিনি ২০০০ সালে জুড়ী বাজারে মেয়ের নামে এলি ট্রাভেলস খুলে ব্যবসায়ীক জীবন শুরু করেন।
২৩ বছরের ট্রাভেলস ব্যবসায় তিনি আজ অনেকটাই সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন।
হাজী মো,হেলাল উদ্দিন,২০০৮ সাল থেকে তাঁর ট্রাভেলসের মাধ্যমে হজ্জ কার্যক্রমের কাজ শুরুকরেন। শুরু থেকে আজো অব্দি প্রতিবছর তিনি হজ্জে লোক পাঠানো ছাড়াও উমরা হজ্জ প্যাকেজের সুবিধায় দলবদ্ধভাবে বিপুল সংখ্যক লোককে তাঁর তত্বাবধানে সৌদিআরবের পবিত্র নগরী মক্কায় নিয়ে যান এবং উমরা হজ্জ শেষকরে দেশে নিয়ে আসেন।
হাজী মো, হেলাল উদ্দিন ব্যবসার পাশাপাশি একজন রাজনীতিবিদও বটে।তিনি ০৩ নং পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টার দায়িত্বপালন করছেন।
এ ছাড়াও তিনি ২০১৬ ও ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) নির্বাচনে একই ইউনিয়ন থেকে দুইবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনকরে মানুষের ব্যাপক আস্থা অর্জনকরেন। তাছাড়াও তিনি মধ্যে বাছিরপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
হাজী মো, হেলাল উদ্দিন ব্যবসা ও রাজনীতির পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তাও বটে।তিনি ২০১৪ সালে শখের বসে নিজ ভূমিতে গড়ে তুলেন একটি ডেইরি দুগ্ধখামার।
প্রথমে উন্নতজাতের তিনটি গাভীদিয়ে শুরু করেন তাঁর খামারটি।অদম্য মানসিকশক্তি  ও পরম মমতায় তিনি খামারটি পরিচালনাকরে আসছেন। পরিশ্রমের ফল হিসেবে  এখন এই খামারটিতে বাছুরসহ ১৪ টি গরু হয়েছে। এই খামার থেকে দুধ বিক্রি বাবদ মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় হয় বলে তিনি জানন।
হাজী মো, হেলাল উদ্দিন একজন সমাজকর্মী হিসেবে রয়েছে তাঁর সুপরিচিতি অন্য ভাইদের মতো তিনিও যেকোনো দুর্যোগকালীন সময়ে অসহায় মানুষদের সাহায্যে সবসময়  এগিয়ে আসেন। এলাকার মসজিদ-মাদরাসার উন্নয়নে অর্থদান করতেও কখনো কার্পন্য করেননা।
জীবনের এইসময় এসে তাঁর ভবিষ্যৎ আর কী পরিকল্পনা আছে? জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি জীবনে যা করতে চেয়েছি আল্লাহ আমাকে সবই দিয়েছেন।

এখন আমি আমার বাড়ীর সামনে নিজের জায়গায় মা-বাবার নামে একটি এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদরাসা প্রতিষ্টাকরার উদ্যোগ নিয়েছি।ইতিমধ্যে ভবন নির্মানেরকাজ শুরু করে দিয়েছি।

মৃত্যু হওয়ার আগে যেন এই মাদরাসাটি চালু করে যেতে পারি তাই সবার নিকট দোয়া চাই।