ডেস্ক রিপোর্টঃঃ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জের নতুনব্রিজ সংলগ্ন খোয়াই নদীর বাঁধ এলাকায় দুই তরুনীকে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত বুধবার (১৫ই জানুয়ারি) করিমপুর সড়কে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের শিকার দুই তরুণী আপন চাচাতো বোন।
গত শুক্রবার রাতে নির্যাতনের শিকার দুই বোন চুনারুঘাট থানায় অভিযোগ করেন। এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় পারভেজ মিয়া (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ।
গত শুক্রবার রাতে শায়েস্তাগঞ্জের উবাহাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত পারভেজ ওই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী দুই তরুণী নবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
তারা সম্পর্কে একে অপরের চাচাত বোন। ওই দুইবোন রাজধানী মগবাজারে তাদের এক আত্মীয়ের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেন।
দুই তরুণী জানান, গত ১৫ই জানুয়ারি রাত অনুমান ১২টার দিকে তারা ঢাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ মোড়ে নামেন। পরে ৫০০ টাকা চুক্তিতে উবাহাটা গ্রামের ওস্তার মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক কামালের সিএনজি রিজার্ভ করেন ওই দুইবোন।
রাত সাড়ে ১২ টায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ঢাকা রোডস্থ নতুন যাত্রী ছাউনির সামন থেকে অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে নিজর বাড়ি নবীগঞ্জের দেবপাড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
পথিমধ্যে নতুন ব্রীজের মুখে আসা মাত্রই সিএনজি চালক কামাল মিয়া বাই রোডের কথা বলে মহাসড়ক থেকে নেমে খোয়াই নদীর বাধে করিমপুর সড়কে প্রবেশ করেন। ব্রিজের অদূরে করিমপুর সংলগ্ন বাধেঁ গিয়ে সিএনজি বন্ধ করে দেন।
এ সময় কামালের বন্ধু রায়হান, পারভেজ ও শিবলু ওরফে শরীফ সঙ্গে ছিলেন। সেখানে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার নগদ ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকাসহ জিনিসপত্র লুটে নেয়। ওই সময়ে তারা শোরচিৎকার শুরু করলে ওই চক্রটি পালিয়ে যায়।
পরে তারা সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থায় এসে স্থানীয়দের অবগত করে অপর একটি গাড়িতে বাড়িতে পৌছান। বাড়িতে গিয়ে ওই দুই বোন বিষয়টি তাদের পরিবারের লোকজনকে অবগত করেন।
এদিকে, অভিযু্ক্ত পারভেজ জানান, তিনি ধর্ষণ করেননি এবং টাকাও নেননি সবকিছু তার বন্ধু কামাল করেছেন। দুই বোনের আত্মীয়-স্বজন জানান, তাদেরকে চারজন মিলে অমানুষিক নির্যাতন করে অর্থকড়ি হাতিয়ে নিয়েছে। ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি প্রয়োজন।
এ রিপোর্ট লেখাকালে দুই তরুণী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। অপর একটি সূত্র জানায়, ওই চক্রটি বেশ কিছুই ধরে গাড়ি চালানোর ফাঁকে যাত্রীদের সাথে অশুভ আচরণসহ গভীর রাতে নতুনব্রিজ পয়েন্টে করছেন নানা অপকর্ম। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ যাত্রী সাধারণ।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।