ডেস্ক রিপোর্টঃঃ
বৃহত্তর সিলেটের অরাজনৈতিক কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস), সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ আয়োজনে গতকাল ১লা জানুয়ারী বুধবার ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দকে স্বাগত জানিয়ে “ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজ, বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ”
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সর্বস্তরের ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, সরকারী অফিসের দালাল,দখলবাজ,সিন্ডিকেটবাজ, অনাকাঙ্খিতভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারী মুনাফাখোরদের রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণার দাবীতে বেলা ১০.৩০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা সহ ২৩ উপদেষ্টা বরাবরে (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
জাতীয় যুব দিবস ২০১০ এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ মুখতার আহমেদ তালুকদার,
সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নাজমুল হুসাইন, সহ-সভাপতি আব্দুস সোবহান আজাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আল-আমিন আহমদ, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান, সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি জাকারিয়া মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাকের, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম শিতাব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু,
প্রচার সম্পাদক মোঃ ফুজায়েল আহমদ, ধর্ম সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান, যুব সম্পাদক শাহরিয়া হাসান, বাংলাদেশ প্রেমী সচেতন নাগরিকদের মধ্য থেকে যুবনেতা মোঃ শাহী ইসলাম মারুফ, মোঃ বজলুর রশীদ, মোঃ আব্দুল আলী, নীলমনি কান্ত চন্দ ও মোঃ শাহনুর আলী।
স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ ঘুষ ও দুর্নীতি বর্তমানে আমাদের দেশে মারাত্মক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। ঘুষের জন্য সরকারী চাকুরী পাওয়া থেকে শুরু করে সবকাজেই ঘুষ ব্যবস্থা বেড়েই চলছে। দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের বাজেটের সমপরিমাণ অর্থ হারিয়েছে। সবকাজেই চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম অপরিসীম।
সরকারী অফিসে দালালদের আগ্রাসনে সাধারণ জনগণ জিম্মি। নদী-খাল-বিলসহ সর্বত্র দখলবাজাদের জয়জয়কার। দেশ ও যুব সমাজের ভবিষ্যৎ ধ্বংসকারী গুটিকয়েক অসাধু ব্যক্তিদের কারণে অগিগলিতে মাদক ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রায় সবকিছুই এখন অবৈধ সংগঠিত গোষ্ঠী বা সিন্ডিকেটবাজদের দখলে। সবধরণের নিত্যপণ্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই বলাবাহুল্য মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত আছে অধিক মুনাফাখোরদের কারণে।
এরা সবাই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করছে। ১৯৭১ ও ২০২৪,এদের চরিত্রের কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। এই দুষ্কৃতিকারীরা ১৮ কোটি জনগণের শত্রু। বিশেষ করে ৬ কোটি যুব সমাজের প্রধান শত্রু। দেশ ও যুব সমাজকে বাঁচাতে উল্লেখিত চিহ্নিত অপরাধীদের রাষ্টদ্রোহী ঘোষণা সময়ের দাবি।
তাই সর্বস্তরের ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, দালাল, দখলবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, সিন্ডিকেটবাজ, অনাকাঙ্খিতভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারী মুনাফাখোরদের রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণার দাবি করছি।
এদের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।