গাড়ী রাখাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে ফাসানোর অভিযোগ, দোকান ভাংচুর

বাংলাদেশ প্রতিক্ষণ ডেস্ক:  মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রথম জানুয়ারী রবিবার সকালে ষ্ট্যাশন রোড এর মিতালী ম্যানশনে  জান্নাত কসমেটিক্স এন্ড গিফট সেন্টার এর স্বাতাধীকারী  ছিদ্দিকুর রহমান মন্টু নামের এক ব্যবসায়ীকে র্পূব শত্রুতার জেরে তিন  বোতল বিদেশী মদ, পাঁচশত গ্রাম গাজা, একশগ্রাম  হিরোইন ও তিনটি গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল দিয়ে ফাসানোর অভিযোগ।

 

ঘটনাস্থলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীকে ফাসানোর কারনে ব্যবসায়ীদরে মাঝে উওেজনা বিরাজ করছে। কিছু কিছু ব্যবসায়ী দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা বলছেন। শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক হাজী মো কামাল হোসেন জানান- ”জান্নাত কসমেটিক্স এন্ড গিফট সেন্টার অত্যন্ত  পুরাতন সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান।  প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধীকারী  ছিদ্দিকুর রহমান মন্টু অত্যন্ত ভালো মানুষ। এমন মানুষকে ফাসানোর জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অচিরেই যদি এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হয়, তবে আমরা শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতি সকল ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন আয়োজন করবো।”

ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান- ”আমরা গোপন সংবাদের ভিওিতে ছিদ্দিকুর রহমান মন্টু এর গাড়ী ও দোকানে অভিযান চালিয়ে তিন বোতল বিদেশী মদ, পাঁচশত গ্রাম গাজা, ১০০ গ্রাম হিরোইন ও তিনটি গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করি। এই নিয়ে  ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়ছে।”

 

ছিদ্দিকুর রহমান মন্টু সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান-  ”সকালবেলা গাড়ী রাখাকে কেন্দ্র করে সুফিয়া কসমেটিক্স এন্ড গিফট সেন্টর ও সুফিয়া ম্যানশনের  স্বত্তাধীকারী  বিল্লাল আহমেদ এর সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তখন বিল্লাল আহমেদ আমাকে দেখে নেবার হুমকি দেন। তার বড় ভাই সালিক আহমেদ স্থানীয় সরকার দলের প্রভাবশালী নেতা, তাই আমাকে দেখে নিবে বলে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘন্টা কয়েক পরে আমি দোকানে না থাকা অবস্থায় শ্রীমঙ্গল থানা থেকে পুলিশ এসে কিকি যেন উদ্ধারের কথা বলছে , যা আমি নিজেও জানি না। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত মালামাল নিয়ে যাবার পর মূহুর্তেই স্থানীয় সরকার দলের প্রভাবশালী নেতা সালিক আহমেদসহ সন্ত্রাসী বাহিনী আমার দোকান ভাংচুর করে ।”

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে বিল্লাল আহমেদ ও সালিক আহমেদকে বারবার ফোন করলেও তিনারা ফোন ধরেননি।