খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কার ও পুন:নির্মাণ প্রকল্পের সমাপনী শেষে হস্তান্তর

খুলনা প্রতিনিধিঃ

ঘুর্নিঝড় আম্ফানে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কার ও পুন:নির্মাণ প্রকল্পের সমাপনী শেষে হস্তান্তর অনুষ্ঠান আজ (সোমবার) দুপুরে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ডাকবাংলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর এরিয়া কমান্ডারের পক্ষে ১০৫ ব্রিগেড-কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোল্লা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

প্রধান অতিথির তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানে সাইক্লোন আম্ফান। সাইক্লোন সিডরের পর এটি ছিলো দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্নিঝড়। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও ঘন্টায় ১৫০ কি.মি গতি সম্পন্ন এই সাইক্লোন দেশের ২৬টি জেলায় তান্ডব চালায়। প্রায় ২৬ লাখ মানুষ বাস্তহারা হয় এবং এই সাইক্লোনে ২৬ জন মানুষ মারা যায়। আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা ও সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার ১১টি জায়গায় প্রায় ১০.৫৩ কি.মি বাঁধ ভেঙ্গে দুই লাখ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় বাঁধের পুন:নির্মাণকল্পে বাংলাদেশ সরকার দ্রæত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার এর জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়। সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধানের দিক নির্দেশনায় ৫৫ পদাতিক ডিভিশন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ শুরু করে। মহামারি করোনার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণকে রক্ষায় এই পবিত্র দায়িত্ব চালিয়ে যায় এবং প্রকল্প সময় শেষ হবার আগেই কাজ শেষ করে।

শত ঝুকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাধ পুন:নির্মাণ এর কাজ শতভাগ সফলতার সাথে সর্ম্পূন্ন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করে।

অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক ৩ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী মাসুদ মোঃ মাহেনুর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণপশ্চমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী একেএম তাহমিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা চাকলা পয়েন্ট পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল ২০২২ সালে শেষ হয়। নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় একশত ৪৫ কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *