কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের প্রচারণা আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। মাইকে গান আর প্যারোডিতে মুখর নগরী পোস্টারে ছেয়ে গেছে। প্রচারণার শেষ পর্যায়ে এসে তিন প্রার্থীর অভিযোগে একই রকম সুর- ভোটের ফল ছিনিয়ে নেওয়া হবে। আরেক প্রার্থী দাবি করেছেন, জনপ্রিয়তা নেই বলে অন্য প্রার্থীরা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ‘গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, ভোটের পর ফল নাকি ছিনিয়ে নেওয়া হবে। এসব গুজবে কান দেবেন না। যারা জামানত হারানোর ভয়ে আছেন, তারা এমন মিথ্যা ছড়াচ্ছেন।’ এ প্রার্থী অভিযোগ করেন, কিছু প্রার্থী এমন ভাব নিচ্ছেন যে ভোট লুট করে নিয়ে যাবেন। এসবে কোনো কাজ হবে না। নির্বাচন কমিশন যদি ৮-৯ তারিখ শক্ত ভূমিকা রেখে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তাহলে জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের রায় দিয়ে দেবে। হাতি প্রতীকের প্রার্থী নূর-উর রহমান তানিম বলেন, আওয়ামী লীগ কারও বাপদাদার সম্পত্তি না। কুমিল্লায় দলের কাউকে একক প্রার্থী মনোনীত করা হয়নি। প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘কারও হামলা-গুজবে কাজ হবে না। আপনারা ভোট দিন। ভোট দেওয়ার পর কোনো কারসাজি হলে আমরা কথা বলতে পারব। ভোটে না এলে কথা বলার জায়গা থাকবে না।’
বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনা বলেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কোনো জনপ্রিয়তা নেই। তাই তাঁরা ভিত্তিহীন কথা বলছেন। তিনি বলেন, ‘ভোট আগেও সুষ্ঠু হয়েছে, এবারও হবে। কুমিল্লার মানুষ আমাকে নিরাপদ মনে করছেন। তারা বাস প্রতীকেই ভোট দেবেন।’ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রার্থীরা যখনই অভিযোগ দিচ্ছেন, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভোট শেষ হওয়ার পর সবার সামনে ফলাফল ঘোষিত হবে, ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে কুসিকের তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র হন নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মোট ১০৫ কেন্দ্রের ৬৪০ কক্ষে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচন ৯ মার্চ ইভিএমে হবে। ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন।