ওসমানীনগর(সিলেট) সংবাদদাতা: সময়ের পরিবর্তনে বদলে যায় মানুষ, কর্ম,পরিবেশ এবং বদলে যায় কিছু মানুষের ভাগ্যটাও আর বদলায়নি কিছু মানুষের জীবন জীবিকার ধরন।
তেমনি একজন খেটে খাওয়া মানুষ আজ পর্যন্ত ৩৭ বছর প্রায় ৩ যুগের বেশি সময় ধরে বালাগঞ্জ – ওসমানীনগর উপজেলায় পত্রিকা ফেরি করে ২ দুই উপজেলার হাট বাজার সহ বিভিন্ন অফিস পাড়ায় প্রতিদিন বাইসাইকেল নিয়ে ঘুরে ঘুরে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা বিক্রি করে জীবন জীবিকা রক্ষা করে আসছেন দরিদ্র দিনমজুর আবদুছ ছালাম , তিনি বালাগঞ্জ উপজেলার চানপুর গ্রামের মো: আব্দুর রাজ্জক এর ছেলে। আব্দুছ ছালাম ১ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক। তার সাথে কথা বল্লে একপর্যায়ে আবেগ প্রবন হয়ে পড়েন তিনি। আব্দুছ ছালাম বলেন আজ থেকে প্রায় ৩৭ বছর পুর্বেই আমি এই পেশায় জড়িত হয়েছি ছোট কাল থেকে। সে সময়ে আমি নবম শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ করেছিলাম। এ পেশায় কেন জড়িত হলেন আব্দুছ ছালামের কাছে জানতে চাইলে? তিনি বলেন পত্রিকা পড়া থেকে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এতে আমি স্বল্প পুজিতে পত্রিকা বিক্রি করার চিন্তা আমার মাথায় আসে। ভাবলাম একদিকে আমার পত্রিকা পড়াও হবে আর অন্য দিকে পত্রিকা বিক্রি করা হবে। সেই ভাবনায় আজ ৩৭ বছর যাবত আমি পত্রিকা ফেরি করে বেড়াই বাজারে বাজারে। এখন আর আগের মত পত্রিকা বিক্রি হয়না। ১৫ থেকে ২০ ধরনের পত্রিকা নিয়ে বিভিন্ন হাট বাজারে অফিস আদালতে এখনও যাই, কিন্তু আগের মত পাঠক আর পাইনা বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেটে সব খবর পেয়ে যায়। তাই আগেরমত আমার আর পত্রিকা বিক্রি করা হয়না। এক সময় পত্রিকা বিক্রি করে আমি অনেক সাচ্ছন্দে পরিবার নিয়ে চলতে পেরেছিলাম। বর্তমানে আমার পত্রিকা বিক্রি করে আমার রোজ পুষেনা। এখন আমি অন্য পেশায় কাজ করতে চাইলে পারবো না, কারন আমার বয়স হয়ে গেছে। যতদিন শরীর ভালো থাকবে এবং আমি বেছে থাকব পত্রিকা বিক্রি করে জীবন কাটিয়ে দিতে চাই, কারণ সবার সাথে পরিচয় হয়ে গছে। কিছু মানুষ এখনও পত্রিকা পাওয়ার জন্য আমার অপেক্ষায় থাকে। বর্তমানে আমি অসহায় কি করে সংসার সামাল দেই ভাবতে থাকি? তাই দেশ বিদেশের সকল শিক্ষক, ব্যবসায়ী, পাটক মহল সহ সবাই যেন আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। সকলের প্রতি আমার এই চাওয়া ।