ডেস্ক রিপোর্টঃঃ
দীর্ঘ এক যুগ পর আগামী মাসে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বাংলাদেশে আসছেন। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পরই দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।
এর আগে সবশেষ ২০১২ সালে দেশটির কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় সফর করেছিলেন। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২রা জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে দার বলেন, ফেব্রুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ঢাকা সফর করবেন। এই সফরে দুই দেশের বৈদেশিক নীতির উন্নয়নের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদারের লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও ইসলামাবাদ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
এর আগে ২০১২ সালে সর্বশেষ পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন হিনা রব্বানি খার। মূলত উন্নয়নশীল আট মুসলিম দেশের জোট ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে সেসময় ঢাকা সফর করেছিলেন তিনি।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের মেয়াদে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন ছিল।
আওয়ামী লীগের এই নেত্রী ভারতের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পাকিস্তানের একাধিক প্রচেষ্টার প্রতিদান দেননি।
তবে রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের পর গত বছরের আগস্টে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বেশ কিছু অগ্রগতিও হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অনুমতি দিয়ে পাকিস্তানি পণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছে।
এছাড়া সমুদ্রপথে দুই দেশ সরাসরি বাণিজ্যও শুরু করেছে।এদিন সাংবাদিকদের সামনে ইসহাক দার বাংলাদেশকে ‘ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশ’ বলে অভিহিত করে বলেন, পাকিস্তান ঢাকাকে সব ধরনের সহায়তা দেবে।