রাজধানীর বাদামতলী পাইকারি বাজারে সাধারণ মরিয়ম খেজুরের দাম ৪৪০ টাকা। সেই খেজুর কারওয়ান বাজারে দ্বিগুণের বেশি, আর রামপুরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন গুণের বেশি দামে। মহাখালীতে এই খেজুরের দাম পৌঁছেছে এক লাফে চার গুণে। বাদামতলী বাজারের ১৮০ টাকা কেজির লাল আপেল কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। শুধু খেজুর ও লাল আপেলই নয়, এভাবেই হাত বদল হয়ে পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে দ্বিগুণ থেকে চার গুণ হয়ে যায় ফলের দাম। রমজানকে পুঁজি করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পকেট কাটছে ক্রেতার। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ফল। গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদকরা রাজধানীর বাদামতলী, যাত্রাবাড়ীর পাইকারি বাজার এবং কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মহাখালী, মিরপুর-১০ ও মিরপুর সাড়ে এগারো খুচরা বাজার ঘুরে তুলে এনেছেন ফলের দামের এই আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
গতকাল বাদামতলী পাইকারি বাজারে লাল আপেল প্রতি কেজি বিক্রি হতে দেখা যায় ১৮০ টাকায়। সেই লাল আপেল কারওয়ানবাজারে ৩২০ টাকা, রামপুরা বাজারে ২৯০ টাকা, মিরপুরে ৩০০ টাকা, মহাখালী কাঁচাবাজারে ২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ী ও বাদামতলী বাজারে ৫-৭ কেজি ওজনের ২০০ টাকার তরমুজ অন্যান্য বাজার ও অলিগলিতে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকায়। বাদামতলীতে মাল্টা বিক্রি হতে দেখা যায় ২১২ টাকা। সেই মাল্টা রামপুরায় ৩৪০-৩৬০, মহাখালী কাঁচা বাজারে ৩২০-৩৪০ টাকা, কারওয়ান বাজারে ৩৪০, মিরপুরে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে এসব ফলের বেশি চাহিদা থাকায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। এ ছাড়া তরমুজ, মাল্টা, আঙ্গুর, আনার, আনারস, বরই, পেয়ারা, কলা, লেবু, পেঁপে, বেল, কমলা, নাশপাতিসহ বিভিন্ন ফলের দাম দ্বিগুণ থেকে চার গুণ বিক্রি হতে দেখা যায়।