সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন শ্রীমঙ্গলের আবেদ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

শ্রীমঙ্গল উপজেলার কৃতি সন্তান সাংবাদিক, সংগঠক ও মানবাধিকার কর্মী মোঃ আবেদ আহমেদ কে শিশু শিক্ষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য, দেশের গর্বিত সন্তান আন্তর্জাতিক গুণীজন সম্মাননা ২০২৩ প্রদান করা হয়। তিনি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার বন্ধু প্রতিদিন সংগঠন ও সাতগাঁও গণমূল্যায়ন পরিষদের সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সুন্দর সমাজ গঠনে নিরলস ভাবে ২০০৫ থেকে কাজ করে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে শিশু শিক্ষা ও সাহিত্যে বাংলাদেশ থেকে রৌপ্য পদক ও ভারত থেকে সাংবাদিকতা ও সমাজ সেবায় মায়ারানী দেবী স্বর্ণ পদক অর্জন করেন তিনি।

বিশ্ববাংলা সংস্কৃতি পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও আন্তর্জাতিক গুণীজন সংবর্ধনা এবং বাংলা ভাষা আমার গর্ব শীর্ষক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই বাংলার কবি, লেখক ও সাংবাদিক, প্রকাশক এবং শিল্পীদের পদচারনায় মূখরিত হয় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রাঙ্গণ। ১৮ ফেব্রুয়ারি রোজ শনিবার এক ঝমকালো আয়োজনে কবি, লেখক আর শিল্পীদের মিলন মেলা শুরু হয়। মহান ভাষার মাসে বাংলা ভাষা আমার গর্ব শীর্ষক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা- ২০২৩ উদযাপিত হয়।

বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিতে অবদান রাখায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব কে এম খালিদ এমপি ও প্রতিমন্ত্রী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মো. জেহাদ উদ্দিন উপ সচিব অর্থ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আসলাম সানী শিশুসাহিত্যিক ও গীতিকবি (একুশে পদকপ্রাপ্ত), মোঃ মতিয়ার রহমান বিশিষ্ট নজরুল গবেষক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো আলোচনা করে টিটো মুন্সী বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী ও নজরুল গবেষক, ড. মোহাম্মদ আবু তাহের লেখক ও গবেষক,
আলোচক হিসেবে লায়ন ড.জাহিদ আহমেদ চেীধূরী, চেয়ারম্যান মেটাফোর ইন্টারন্যাশনাল লি,বোরহান উদ্দিন সাবেক দোয়রা জেলা জজ ময়মনসিংহ ,
শাহাদাৎ হোসেন হিলু প্রতিষ্ঠাতা, বহুরূপী নাট্যমঞ্চ, ময়মনসিংহ, দুর্গা বেরা, গীতিকবি ও লেখক, কলকাতা, পুলক বসু, সাংবাদিক ও সম্পাদক, নদীয়া, শ্রবন্তী ঘোষ, বাচিকশিল্পী, হুগলী, ভারত এস বি বুলবুল, লায়ন গোলাম সারোয়ার মানিক প্রধান সমন্বায়ক বিশ্ববাংলা সংস্কৃতি পরিষদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রহিমা আক্তার রীমা সভাপতি বিশ্ববাংলা সংস্কৃতি পরিষদ।

এতে কবিতা গান পরিবেশন করেন কলকাতার বিশিষ্ট লোক গানের দল রঙ্গিলা নাও, নন্দিনী লাহা, কর্ণধার, রক্তকরবী আন্তর্জাতিক, কলকাতা,পুলক বসু, সাংবাদিক ও সম্পাদক, নদীয়া, শ্রাবন্তী ,ঘোষ, হুগলী, রুম্পা দে, হাওড়া সহ প্রায় অর্ধশতাধিক কবি ও শিল্পী। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে থেকে কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীগণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করবার জন্য ১৯৫২ সালে আমরা রক্ত দিয়েছিলাম। আজ সেই রক্তের বিনিময় পাওয়া ভাষাকে বুকে ধারণ করে পথ চলছি আর ভবিষ্যতেও চলতে হবে।সর্বক্ষেত্রে এ ভাষার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। তিনি বিশ্ববাংলা সংস্কৃতি পরিষদ কে ভাষার মাসে সময়োপযোগী ও কার্যকর অনুষ্ঠানের আয়োজন করবার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথিবৃন্দ এবং আলোচকবৃন্দ সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিকসহ সর্বস্থরে বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার ও যথাযথ উচ্চারণের বিষয়ে আলোচনা করে।