শ্রীমঙ্গল শহরে চুরি বেড়েই চলছে

শ্রীমঙ্গল, (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও পৌর শহরে দিনে রাতে হঠাৎ করে চুরি বেড়ে গেছে। বাসা-বাড়ী,দোকান, মোবাইল ও মোটরসাইকেল চুরি বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শ্রীমঙ্গল পৌর শহরে চুরি বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ ও শঙ্কা বেড়ে গেছে। সরেজমিনে তথ্য নিয়ে জানা যায় ১৩ জুলাই বুধবার রাতে শ্যামলী জামে মসজিদ মার্কেটের বিসমিল্লাহ ষ্টোর থেকে তালা ভেঙ্গে ১লাক্ষ টাকা নগদ ও দোকানে থাকা মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন পূর্বে পূর্বাশা নির্মল স্টোর ও রাজু স্টোর দুই দোকানেই থানায় অভিযোগ করেন।

২ জুলাই ২০২২ ইং শনিবার আনুমানিক রাত ৮ঃ৩০মিনেটের সময় সবুজবাগ আ/এ লাকি ষ্টোরের সামনা থেকে ১১০ সিসি কালো রংয়ের ডিসকভার মোটরসাইকেল চুরি হয়। রেজিষ্ট্রেশন নং- মৌলভীবাজার- হ ১৩-০২৯৯।যার মালিক টিকরিয়া গ্রামের মো.আলাল আহমেদ পরে তিনি শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেন হারিয়েছে বলে। ডাইরী নং ১১২।

১২ জুলাই ২০২২ইং মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ৮টার সময় শ্রীমঙ্গল শহরতলীর ফুলবাড়ী এলাকার চিড়িয়াখানা রোড হতে কালো রংয়ের ১০০ সিসি হিরো স্পেলেন্ডার মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। রেজিষ্ট্রেশন নং-মৌলভীবাজার হ-১২৭৯৬৭।

এর আগে (৮ জুন) বুধবার দুপুরে শহরের মনাই উল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী একটি বাসায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। স্বামী -স্ত্রী দুজনেই শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থাকায় এসময় বাসায় কেউ ছিলোনা।ঘরের দরজার তালা ভেঙে প্রবেশ করে চোর চক্রটি,এর পর দুটি আলমারি ভেঙে কিছু নগদ টাকা নিয়ে চলে যায়।সারাঘরের জিনিসপত্র তছনছ করে সম্ভবত স্বর্ণালংকার বা কিছু খুঁজতে ছিল এটা প্রতীয়মান।একই দিনে শহরের আরও দু-একটি বাসায় ও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা শুনা যায়।

১৪ জুন শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ভাড়াউড়া রোডে রুপসপুর এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো.নুরুল ইসলামের বাসায় চুরি সংঘটিত হয়।মো.নুরুল ইসলাম বলেন,আমার বাসার দ্বিতীয় তলার বাড়াটিয়া সকাল বেলা তাদের রুমের দরজা খুলে ছাদে যায় কাপড় শুকাতে ছাদে থেকে এসে দেখে রুমের ভিতরে সব কিছু এলোমেলো।জানা গেছে সোনা গহনা লুট করে নিয়ে যায় চোরচক্র।

কিছু দিন আগে ও শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া সড়কের বিটিআরআই চা-বাগানের বেলতলী নামক এলাকার সড়কে ডাকাতির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে ১৩-১৪ জনের একটি ডাকাতদল যাত্রীদের মারধর করে টাকাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয় বলে জানা গেছে। পরে ১৬ জুন ডাকাতির প্রস্তুতির সময় দুই ডাকাত কে অস্ত্রসহ আটক করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।আটক কৃত দুই ডাকাতকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(শ্রীমঙ্গল-সার্কেল)মো.শহিদুল হক মুন্সীর কাছে শহরের চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে অভিযোগ আসছে আমরা সেগুলো খুব গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে তদন্ত করছি। আমরা এ ব্যাপার সতর্ক রয়েছি। আমি নিজেও গভীর রাতে বের হই। এবং পাড়া মহল্লায় পাহাড়া দেওয়ার ও ব্যবস্তা করেছি।