শ্রীমঙ্গলে সম্পদ ও জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সরকারী জলমহাল লীজ বন্দোবস্ত নিয়ে মাছ চাষ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক অসহায় সংখ্যালঘু পরিবার। উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের বরুনা গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন বিশ্বাস হাইল হাওরের বয়রা বিলে সরকারী জলমহাল এবং ব্যক্তি মালিকানায় প্রায় ১০৬ একর জমিতে মাছ চাষ করে আসছেন। এর মধ্যে স্থানীয় ভাবে অন্নপূর্ণা মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে ডিসি অফিস থেকে জলমহাল ইজারা রয়েছে প্রায় ৯২ একর। বাকি জমি ব্যক্তি মালিকানা।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মনোরঞ্জন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, মৌলভীবাজার আটঘর এলাকার চিহ্নিত মামলাবাজ শেখ খোরশেদ আলমের মদদে বরুনা গ্রামের কলা মিয়া, দিলু মিয়া, মামুন মিয়া, নুরুল হক, তবারক মিয়াসহ কতিপয় ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এসব জল মহাল থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় জোর পূর্বক মাছ লুটপাট ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি করে আসছে। প্রতিবাদ করলে তারা প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে করে গত কয়েক বছরে প্রায় ৭-৮ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।

এনিয়ে গত ৮ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান এর মধ্যস্থতায় সেখানে পাহারাদার নিয়োগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় গত ২৫ ডিসেম্বর উল্লেখিত দূর্বৃত্বরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জলমহালের নিযুক্ত পাহারাদার ও লোকজনদের ঘেরাও করে বেধম মারপিট করে। এসময় তারা জলমহাল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দুইটি মাছ বোঝাই নৌকা জোর পূর্বক নিয়ে যায়। এনিয়ে কোথাও কোন প্রতিকার মিলছে না। সংবাদ সম্মেলনে তিনি একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভুক্ত হওয়ায় তার সম্পদ ও পরিবারের নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি জাহাঙ্গির হোসেন সরদার বলেন, গতকাল রাতে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, বে-আইনী ভাবে কেই মাছ ধরলে আমরা মৎস কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলে জানান।