রংপুরে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। নিয়ন্ত্রণ করবে কে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভোক্তা সাধারণের মাঝে। ভরা মৌসুমে এমন অবস্থা হলে আর কদিন পর দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে এ নিয়ে চিন্তিত ভোক্তারা।
এদিকে, ভরা মৌসুমে সংরক্ষণের জন্য আলু পাচ্ছেন না রংপুরের হিমাগার মালিকরা। এখন পর্যন্ত গড়ে হিমাগারগুলোর ২০/২৫ শতাংশ স্থান খালি রয়েছে। ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকরা অপরিপক্ক অবস্থায় ক্ষেত থেকেই আলু বিক্রি করে দেন, দক্ষিণাঞ্চলের হিমাগার মালিকরা মাঠ পর্য়ায়ে আলু সংগ্রহ করায় রংপুরের হিমাগার মালিকরা আলু পাচ্ছেন না। এছাড়া বড় বড় কৃষক ও ব্যবসায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাজার হাজার মেট্রিক টন আলু মজুদ করে রেখেছেন। এসব কারণেই আলুর দাম লাগামহীন হয়ে পড়ছে বলে ধারণা করছেন ভোক্তারা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় এ বছর এক লাখ ৬০২ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১৬ লাখ ১১ হাজার ৩৫৪ মেট্রিকটন। কৃষকরা বেশি দাম পাওয়ায় পরিপক্ক হওয়ার আগে ক্ষেতেই আলু বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে হিমাগারগুলো কাঙ্খিত আলু পায়নি।
স্থানীয় বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন আলুর মৌসুম। তারপরও আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮ টাকা। কোথাও ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঈদের ছুটির পরে প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১২ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।
আলু ব্যবসায়ীরা বলেন, মৌসুমের শুরুতেই দাম ৪৫/৫০ টাকা হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মজুদদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছেন বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও করেন তারা।
ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, আলুর বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এই সময় সাধারণত আলু ২০/২৫ টাকা কেজি থাকার কথা। কিন্তু সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৬০ টাকায়। অথচ সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৯ টাকা। এ ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনাও মানা হচ্ছে না।