ফসল রক্ষা বাঁধের বরাদ্দের নামে অহেতুককোন প্রকল্প নেয়া হবে না – উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

 

১৩৪ হাওরের বোরো ধান রক্ষায় ১৭০০ কিলোমিটার বাদ নির্মাণ করা হবে

এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সুনামগঞ্জ থেকে ফিরে
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হাওরের বোরো ধান রক্ষায় ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে কেউ অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ শেষে হবে।
২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওর পরিদর্শনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

‘হাওরে যেভাবে প‌লি‌থিন দেখলাম, এসব বিষ‌য়ে আমরা এক‌টি প‌রিকল্পনা হা‌তে নি‌চ্ছি। হাওরের প‌রি‌বেশ-প্রকৃ‌তি কীভা‌বে ঠিক থাক‌বে, তা নিয়ে আমরা এক‌টি প‌রিকল্পনা কর‌ছি।’ উল্লেখ করে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, সে সঙ্গে ফসল রক্ষা বাঁধের বরাদ্দের নামে অহেতুক কোন প্রকল্প নেওয়া হবে না, যা পরিবেশের ক্ষতি করে। এক কথায় পরিবেশ রক্ষা করেই বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

পাশাপাশি টাঙ্গুয়ার হাওরে টুরিজম কার্যক্রম চলবে, তবে তা নিয়ন্ত্রিত এবং পর্যাপ্ত নজরদারির মধ্যে থাকবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, হাওরাঞ্চলের লাখো লাখো মানুষ বোরো ফসলের উপর নির্ভরশীল। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে বড় ধরনের বন্যা আসার আগে কৃষকরা সোনালি ধান ঘরে তুলতে পারে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পা‌নি সম্পদ মন্ত্রণালয় স‌চিব নাজম‌ুল আহসান, জেলা প্রশাসক ড. মো. ইলিয়াছ মিয়া, পু‌লিশ সুপার মো. আনোয়ার হো‌সেন খান এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে তিনি টাঙ্গুয়ার হাওরের বাঁধসহ বিভিন্ন হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, এ বছর ১৩৪ হাওরের বোরো ধান রক্ষায় ১৭০০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।