দেশে সব কিছুর দামই এখন উর্ধ্বমুখী, সেই তালিকায় এবার যোগ হচ্ছে ওষুধ

স্টাফ রিপোর্টার;

দেশে সব কিছুর দামই এখন উর্ধ্বমুখী। সেই তালিকায় এবার যোগ হচ্ছে ওষুধ। কোম্পানিগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এবার ২০টি জেনেরিকের ৫৩টি ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

শনিবার (১৭ জুলাই) অধিদপ্তরের পরিচালক ও মুখপাত্র আইয়ুব হোসেন খবরটি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘ওষুধ কোম্পানিগুলো কিছু ওষুধের দাম বাড়ানোর আবেদন করেছিল। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অধিদপ্তর ৫৩টি ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে। অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কেউ ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।’

স্বাস্থ্যসেবায় ওষুধ অপরিহার্য। করোনার সংক্রমণ, ডেঙ্গুজ্বরের বিস্তারে মানুষের স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক জটিলতা বেড়েছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্যারাসিটামলের ৫০০ এমজির প্রতিটি ট্যাবলেট ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে এক টাকা ২০ পয়সা। কিছু ওষুধের দাম বেড়েছে ১০০ শতাংশেরও বেশি। অর্থাৎ আগে যে দামে ওষুধ কেনা যেতো, এখন তার চেয়ে দ্বিগুণ টাকা গুনতে হবে।

দেশে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় ২১৯টি ওষুধ আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্যে ১১৭টি ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই ১১৭টির মধ্যে ৫৩টি ওষুধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিদপ্তর।

একটি সূত্র বলছে, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় থাকা সব ওষুধ উৎপাদন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ওষুধ কোম্পানিগুলো সব ওষুধ উৎপাদন করে না। তারা বলে, এতে লাভ কম। ওষুধ কোম্পানিগুলো এসব ওষুধের দাম বাড়ানোর কথা বলে আসছিল, যেন এসব ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি করে কোনো লোকসান না হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধের দাম বাড়ছে।

তবে এমন সময়ে ওষুধের দাম বাড়ানো হচ্ছে, যখন অনেক নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। দেশেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দামে। বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে চাপে রয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষেরা।