চট্টগ্রামের কাছে হারল সিলেট স্ট্রাইকার্স

 

 

ডেস্ক রিপোর্টঃঃ

 

টানা দুই জয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচও তাই জয়ে রাঙাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল আরিফুল হকরা। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডারে জর্জ মুন্সি ও জাকের আলী অনিকের লড়াইয়ের পরেও চট্টগ্রাম কিংসের দুইশ পেরোনো সংগ্রহ পেরোতে পারল না সিলেট। তাতে ফরচুন বরিশালের টপকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এল মোহাম্মদ মিঠুনের দল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার বিপিএলের ১৯তম ম্যাচে স্বাগতিকদের ৩০ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম কিংস। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম তিন বিদেশির ব্যাটিং তাণ্ডবে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে করে ২০৩ রান। জবাবে নির্ধারিত সময়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানের বেশি করতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স। ব্যাট হাতে ৩৩ বলে ৬০ রান করে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন চট্টগ্রামের গ্রাহাম ক্লার্ক।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট। প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং। রনি তালুকদার ও জাকির হাসান শুরুর সেই ধাক্কা সামলে উঠলেও এক ওভারের ব্যবধানে দুজনেই আউট হয়ে গেলে পাওয়ার প্লেতেই বিপাকে পড়ে যায় তারা। ১৯ বলে ২৫ রান করে আলিস আল ইসলামের বলে বিদায় নেন জাকির। রনির ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে কেবল ৭ রান।

এরপর ফিফটি হাঁকিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা চালিয়েছেন জর্জ মুন্সি। যদিও ৩৭ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৫২ রান করে ফিরে গেছেন তিনিও। শেষ দিকে জাকের আলী অনিক বোলারদের ওপর রীতিমতো তুফান বইয়ে দেন। কিন্তু তার ২৩ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং নেমে চট্রগ্রামের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন কিছুটা রয়েসয়ে খেলছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। কিন্তু একদিন আগেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ পাওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটার ১০ বলে ৭ রান করে থেমেছেন দলের ৩২ রানের মাথায়। এরপর গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন আরেক ওপেনার উসমান খান। দুজনেই তুলে নেন নিজেদের ব্যক্তিগত ফিফটি। ফিফটির পরেই থেমেছেন অবশ্য। ৩৫ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ রান করেন উসমান। আর ক্লার্কের ৬০ রানের ইনিংসে ছিল ৩ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কার মার।

মাঝে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ১৯ বলে ২ ছক্কায় ২৮ রানের ছোট্ট এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এরপর শামিম পাটওয়ারী (১) ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র (৩) ব্যর্থ হলেও হায়দার আলির ১৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ২০৩ রানের বড় পুঁজি পায় চিটাগং কিংস। যা তাদের জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত যথেষ্ঠ হয়ে দাঁড়ায়।

এবারের বিপিএলে চার ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠেছে চিটাগং কিংস। ৫ ম্যাচ খেলা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বরিশালেরও পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে রয়েছে মোহাম্মদ মিঠুন-শরিফুল ইসলামরা। ছয় ম্যাচে ২ জয় ও চার হাতে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম কিংস: ২০ ওভারে ২০৩/৬ (ক্লার্ক ৬০, উসমান ৫৩, হায়দার ৪২*; তানজিম সাকিব ২/৩৮, নাহিদুল ১/৩০)।
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ২০ ওভারে ১৭৩/৮ (মুন্সি ৫২, জাকের ৪৭*, জাকির ২৫; ওয়াসিম ৩/২৫, আলিস ২/৩৬)।
ফল: চট্রগ্রাম কিংস ৩০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: গ্রাহাম ক্লার্ক।